অবশ্যই ইন্সটলনীয় ৩০টি অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ

অবশ্যই ইন্সটলনীয় ৩০টি অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ
কাফি রশিদ, ২৩/৯/২০১২

অ্যান্ড্রয়েড ফোন নতুন ব্যবহারকারীরা লাখ লাখ অ্যাপসের প্লানেটে কেবল ঘুরতেই থাকেন কোনটা ছেড়ে কোনটা ইন্সটল করবেন ভাবতে ভাবতে। অ্যাতো অ্যাতো অ্যাপসে হাবুডুবু খাওয়াটাই স্বাভাবিক। যত দরকারী অ্যাপ ইন্সটল করেন, তারচে বেশী ইন্সটল করে বসে থাকেন অদরকারী অ্যাপ। ফোন কেনার পরপরই যেই অ্যাপসগুলো ইন্সটল করা উচিত বলে মনে করি তার ছোটখাট রিভিউ লিখলাম।

১। অ্যাস্ট্রো
যাদের ফোনে ফাইল ব্রাউজার নাই তাদের জন্য। যাদের আছে তারাও ব্যবহার করতে পারেন। ইন্টারফেস ভালো না হলেও কাজের অ্যাপ। বিল্টইন টাস্ক কিলার, অ্যাপ ব্যাকআপ, ফটো ভিউয়ার, জিপ ম্যানেজার সুবিধা সম্বলিত। ব্যাকআপ অপশন ব্যবহার করে ফোনে ইন্সটল্ড সব অ্যাপের এপিকে ফাইল এসডি কার্ডে ব্যকআপ রাখতে পারবেন।

২। অ্যাডভান্সড টাস্ক ম্যানেজার
যাদের ফোনে বিল্ট ইন টাস্ক ম্যানেজার নাই তাদের জন্য। এক ট্যাপে ব্যাকগ্রাউন্ডে চলা সিস্টেম অ্যাপ ছাড়া সব অ্যাপ বন্ধ করা যায়। হোমস্ক্রীণে উইজেট অ্যাড করে সহজেই সব বন্ধ করতে পারবেন।

৩। অ্যাপস টু এসডি
ফোনের ইন্টারনাল মেমরী কম থাকলে ফোন মেমরীতে ইন্সটল করা অ্যাপ এসডি কার্ডে মুভ করার জন্য। সাথে ওয়ান ক্লিক ক্যাশে ক্লিয়ার ফিচার আছে। আলাদা আলাদা অ্যাপে গিয়েও ক্যাশে ক্লিয়ার করতে পারবেন।

৪। গো লঞ্চার এক্স
থীম প্যাক। সুন্দর সুন্দর অনেক থীম আছে। শুধু থীমই না, বিভিন্ন উইজেট, লাইভ ওয়ালপেপার, থার্ড পার্টি অ্যাপ সহ। হোমস্ক্রীন পর্যন্ত কাস্টোমাইজ করা যায়।

৫। ক্যাচ নোটস
ফোনে নোট লিখার সবচেয়ে ভালো অ্যাপ এটি। টেক্সট নোট, ফটো নোট, বারকোড নোট, লোকেশন নোট, রিমাইন্ডার নোট ইত্যাদি লিখতে পারবেন। সাথে ট্যাগিং অপশন। ইউজার ইন্টারফেসও অন্যান্য নোট লিখার অ্যাপের চেয়ে ভালো। অ্যাপটি অ্যাড ফ্রী।

৬। টিউবমেট
ফোনে ইউটিউব থেকে ভিডিউ ডাউনলোড করার জন্য সবচে কার্যকর অ্যাপ। রান করে সার্চ করবেন, কাঙ্খিত ভিডিউটি ওপেন করে সবুজ তীরে ক্লিক করলেই ডাউনলোড শুরু হবে। রেজ্যুলুশন সিলেক্ট করার ব্যবস্থা আছে। সাথে এমপি থ্রী তে কনভার্ট করার সুবিধা।

৭। এমএক্স প্লেয়ার
সবচেয়ে বেশি ফরমেট সাপোর্ট করে, ট্যাপ টু জুম, চাইল্ড প্রোটেকশন ফীচার সমৃদ্ধ। প্রায় সবরকমের সাবটাইটেল ফরমেট সমর্থন করে। প্রায় সব অ্যান্ড্রয়েড ভার্শনের জন্য কোডেক প্যাক আছে।

৮। স্ক্যান
হাজারখানেক বারকোড রীডারের মধ্যে সবচে ভালো বারকোড রীডার। স্ক্যান করার সময় ট্যাপ করার দরকার নেই, কোড পাওয়ামাত্র ইনপুট নিয়ে নিবে। নিজস্ব বারকোড সার্ভারের পাশপাশি গুগল ও আমাজনে সার্চ করার সুবিধা আছে। ইন্টারফেস চমৎকার, অ্যাড ফ্রী।

৯। কল রেকর্ডার
নাম দেখেই বুঝতে পারছেন কোন কাজের জন্য। রেকর্ডার অ্যাপগুলোর মধ্যে সবচে কাজের অ্যাপ। এমপি ফোর, থ্রীজিপি ফরমেটে রেকর্ড করার সুবিধা। ব্লুটুথ হেডফোন অথবা ইয়ারফোনে রেকর্ড করা যাবেনা। শুধু ফোনের ইয়ারপিস ও মাউথপিস ব্যবহার করে।

১০। অ্যাডোব রীডার
নাম দেখেই বুঝতে পারছেন পিডিএফ ফাইল রীডার। এর বিশেষত্ব হলো পড়ার সময় যেখান থেকে ক্লোজ করবেন আবার অ্যাপটি রান করলে সেখান থেকেই দেখা যাবে। অ্যাডোব প্রোডাক্ট নিয়ে বেশি কিছু বলার দরকার নেই।

১১। অ্যাডোব এয়ার
অ্যাডোব এয়ার এনভায়রনমেন্ট অ্যাপ। যেসব ওয়েবসাইটে অ্যাডোব এয়ার কন্টেন্ট আছে সেইসব ওয়েবসাইট নির্বিঘ্নে ব্রাউজ করার জন্য।

১২। অ্যাডোব ফটোশপ এক্সপ্রেস
আরেকটি অ্যাডোব প্রোডাক্ট। ছবিতে টুকটাক ইফেক্ট দেয়ার জন্য। খুবই ছোট অ্যাপ।

১৩। ইন্সটাগ্রাম
অনলাইন ফটো শেয়ারিং অ্যাপ। একবার ট্যাপেই ছবিতে পুরনো আমলের ইফেক্ট দিতে পারবেন। সাথে ফেইসবুক, টুইটার সহ অন্যান্য সোশ্যাল শেয়ারিং সাইটে শেয়ার তো আছেই। ফেইসবুক সম্প্রতি এক বিলিয়ন ডলারে অ্যাপটি কিনে নিয়েছে।

১৪। অ্যাভাস্ট
এন্টি ভাইরাস। সুবিধার মধ্যে আছে: ডাটা ট্রান্সফার মিটার, এন্টি থেফট, ইউআরএল কারেকশন, এসএমএস ও কল ফিল্টার, ওয়েব শীল্ড, ব্যাটারি সেভার সহ আরো অনেক ফীচার। আর ভাইরাস স্ক্যান তো আছে।

১৫। ইএসপিএন ক্রিকইনফো
খেলাধুলার খবর নেয়ার জন্য। ইএসপিএন ক্রিকইনফো'র সাইট ব্রাউজ করেনি অ্যামন মানুষ কমই আছে।

১৬। হোয়াটসঅ্যাপ
জনপ্রিয় অনলাইন মেসেজিং সফটওয়্যার। ফোনবুকে সেইভ করে রাখা নাম্বারের উপর ভিত্তি করে বন্ধু অ্যাড করে। ব্যাকগ্রাউন্ডে চলতে থাকা অ্যাপটিতে কেউ নক করলে সাথে সাথেই নোটিফিকেশন শো করে। এককথায় দারুন।

১৭। স্কাইপ
জনপ্রিয় ভিডিও ও ভয়েস কল অ্যাপ। থ্রিজি নেটওয়ার্ক থাকলে ভিডিও কল করতে পারবেন, টুজি নেটওয়ার্কে ভয়েস কল। একদম ফ্রী।

১৮। ফ্রিং
আরেকটি মেসেঞ্জার। টেক্সট চ্যাটিং, ভয়েস কল, ভিডিও কল করা যায়। টুজি নেটওয়ার্কেও ভিডিও কল করা যায়। ফ্রিং টু ফ্রিং ভয়েস, ভিডিও কলিং ফ্রী।

১৯। গুগল ড্রাইভ
অধুনা বিলুপ্ত গুগল ডকস এর নতুন ব্র্যান্ডনেম গুগল ড্রাইভ। যেকোন ফাইল অনলাইন ক্লাউড সার্ভারে রাখতে হলে এইটা ব্যবহার করতে পারেন। পিসি থেকে ড্রাইভে রাখা ফাইলও ফোনে অফলাইনে রাখতে পারবেন।

২০। গুগল ট্রান্সলেটর
সবার চেনা অ্যাপ। সহজ ইন্টারফেস, টেক্সট ইনপুটের সাথে ভয়েস ও হ্যান্ড রাইটিং ইনপুটের সুবিধা। ডিকশনারী হিশেবে ব্যবহার করতে পারেন।

২১। বাংলা ডিকশনারি
অনলাইন বাংলা ডিকশনারী। গুগল ডিকশনারী'র উপর ভিত্তি করে হালাল আইটি'র ডেভেলপ করা।

২২। ইয়াহু মেইল ক্লায়েন্ট
ফোনের মেইলবক্স। ইন্টারফেস জঘন্য। তার উপর একটু পরপর অ্যাড আসতেই থাকে। কাজ চলার মতো।

২৩। প্রথমআলো
প্রথম আলোর প্রতিদিনের সংবাদ পড়তে ইন্সটল করুন। বিল্ট ইন বাংলা ফন্ট থাকার সব ফোনে বাংলা দেখা যাবে।

২৪। ডলফিন
জনপ্রিয় ইন্টারনেট ব্রাউজার। দ্রুত কাজ করে। ইন্সটল করে দেখতে পারেন।

২৫। অপেরা
সবচে জনপ্রিয় ফোন ইন্টারনেট ব্রাউজার। অপেরা মোবাইল ফ্লাশ সাপোর্ট করে। দ্রুত কাজ করে। পেইজ সেভ, অপেরা লিঙ্ক, অপেরা টার্বো ইত্যাদির সাথে অপেরার ডেস্কটপ ব্রাউজারের বিভিন্ন সুবিধা তো আছেই।

২৬। কম্পাস
কম্পাস অ্যাপ। সহজ ইন্টারফেস। একশভাগ কার্যকর। অনেকগুলো থীম আছে, কয়েকটা কিনতে হয়।

২৭। কিংসফট অফিস
অফিস অ্যাপ। পুরোটাই ফ্রী। ডকুমেন্ট লিখতে পারবেন, পড়তে পারবেন, এক্সেল শীট তৈরী করতে পারবেন। বিল্ট ইন পিডিএফ ফাইল রীডার, ফাইল ম্যানেজার, প্রিন্ট ফীচার। টেক্সট ফাইল পিডিএফ ফরমেটে এক্সপোর্ট করার সুবিধা, স্পেল চেকার, ২৩টা ফরমেট সাপোর্ট।

২৮। স্টেলারিয়াম
তাঁরা দেখার অ্যাপ। কম্পিউটার ভার্সনের মতো ভালো না হলেও কাজ চলে। জিপিএস ইন্টিগ্রেটেড, ৬,০০,০০০ নক্ষত্র, থ্রিডি ভিউ, সত্যিকারের মিল্কিওয়ের মতো দেখতে! এইটা ফ্রী ভার্শন। সব ফোনে কাজ নাও করতে পারে।

২৯। স্কেচ লাভার
স্কেচ করা ও আঁকিবুকির অ্যাপ। ১৫ রকমের পেন্সিল, পিঞ্চ টু জুম, এক্সপোর্ট টু এসডি কার্ড সুবিধা। ফেইসবুক, ইমেইল শেয়ারিং তো আছেই।

৩০। ফ্রেন্ডকাস্টার
ফেইসবুকের জন্য থার্ড পার্টি অ্যাপ। যারা কম ব্যান্ডউইথ খরচ করে ভালো ইন্টারফেসে ফেইসবুকিং করতে চান তাদের জন্য। পাঁচটা থীম সহ ফেইসবুকের সব সুবিধা। লিঙ্ক শেয়ারিং সিস্টেম চমৎকার।



 # নন মার্কেট অ্যাপ ইন্সটল না হলে সেটিংস > অ্যাপলিকেশনস > আননোন সোর্সেস এনাবল করে নিন। পোষ্টে উল্লেখিত লিঙ্ক ছাড়াও ফোনের গুগল প্লে থেকে অ্যাপগুলো ইন্সটল করতে পারবেন। তাছাড়া ফোন থেকে পোষ্টটি পড়লে লিঙ্কে ক্লিক করে "গুগল প্লে" তে ওপেন করুন।