বাচ্চাকালের মজার ঘটনা

বাচ্চাকালের মজার ঘটনা
কাফি রশিদ, ৫/১০/১১

ছোটবেলার একটা প্রিয় জিনিষ ছিলো বেলুন। বেলুন নিয়ে খেলে নাই এমন মানুষ মনে হয় নাই। লাল-শাদা-নীল-হলুদ লাউয়ের মতোন দেখতে বেলুন সপ্তাহে দুই-তিন দিন আমাদের এলাকায় আসতো, বাকিদিন গুলাতে বাসার পাশের মুদি দোকান থেকেও বেলুন কিনে আনতাম। দোকানদারকে এক টাকা দিলে দুইটা রাজা কনডম ধরায়ে দিতো  তখন বুঝতাম না এগুলা কি জিনিশ, যখন বুঝতে পারসি তখন বেলুন ফুলানোর বয়স পার হয়ে গেছে। ক্যামন পিচ্ছিল ছিলো ওইগুলা, তাই দোকান থেকে কিনেই বাথরুমে নিয়ে সাবান দিয়ে ধুয়ে ফেলতাম। আব্বুর সামনে পরলে গাইগুই করেও লাভ ছিলো না, সব "বেলুন" সোজা পুকুরে আর বোনাস পিঠে কিল। ওই "বেলুন" গুলার প্যাকেট ছিলো দাবা'র চেকের মতো, সিলভার আর কালো চেক। এক বক্সে মনে হয় ৫০টা থাকতো। মাঝে মাঝে ইচ্ছা করতো পুরাটা কিনে নিয়ে যাই, বাট আব্বুর ভয়ে ২টার বেশি একদিনে কিনতাম না। স্বপ্ন দেখতাম একদিন এক বক্স বেলুন আমার হবে। কিং ব্র্যান্ড বেলুনের প্যাকেট জানিনা এখন দেখতে ক্যামন। ব্লগের অনেকেই হয়তো আমার মতো এই বেলুনের বিশেষ ভক্ত ছিলেন। ফুলানো ছাড়াও দোকান থেকে লাল আর নীল রঙ কিনে এনে আঙ্গুর বানাতাম, আর পানি ভরে বিশেষ ধরনের ফিডার।

আরেকটা কমন ঘটনা হিসু করতে গিয়ে প্যান্টের জিপারে ইয়ে আটকে যাওয়া  প্রত্যেকবার মনে হতো এইবার বুঝি পুরাটাই কেটে যাবে। আটকে গেলেই সোজা আম্মুর কাছে দৌড় দিতাম যেন অন্য কেউ দেখে না ফেলে। দেখা-দেখি আর কেটে যাবে এই ভয়ে হিসু করতেই ভয় লাগতো।

ছোটবেলায় মনে করতাম কালো পিঁপড়া মুসলমান আর লাল পিঁপড়া হিন্দু। এই জন্য লাল পিঁপড়া আমাদের কামড় দেয়, কালো পিঁপড়া দেয় না। 'মুসলমান কালো পিঁপড়া' কখনোই মারতাম না। পিঁপড়ার কোন ধর্ম নাই এইটা বুঝতে পারি যখন আমাদের কিন্ডারগার্টেনে একটা হিন্দু ছেলে ভর্তি হয়। প্রথমদিনই ওকে জিজ্ঞেস করসিলাম কালো পিঁপড়ার কামড় খেতে কেমন লাগে। লাল পিঁপড়াও ওদের কামড় দেয় এইটা শুনে ক্লাশ টীচারকে জিজ্ঞেস করতেই অই টীচার খ্যাক খ্যাক করে হাসতে হাসতে পুরাটা বুঝায়ে দিসে।