মিথলজি আমার অতি পছন্দের বিষয়। গ্রীক, এশিয়ান, নর্স, চৈনিক, ইনকা - সব মিথলজি ভালো লাগে।
অনেক অনেক বছর আগের কথা। ‘নিক্স’ নামের একটা পাখি, ফিনিক্স না, একটা সোনালী রঙের ডিমে তা দিচ্ছিলো। একসময় ডিম ফোটার সময় হয়ে গ্যালো, ডিম ফুটে বের হলো এক দেবতা, ইরস। ইরস হচ্ছে প্রেমের দেবতা। দেই ডিমের খোসার আর্ধেক হয়ে গ্যালো ইউরেনাস, ইউরেনাস হচ্ছে আকাশ, বাকি অর্ধেক হলো গায়া- মাটি। প্রেমের দেবতা ইরসের আশীর্বাদে প্রেমবিদ্ধ হয় গায়া আর ইউরেনাস। গায়া আর ইউরেনাসের প্রথম তিন সন্তান হচ্ছে তিনটা সাইক্লোপস। সাইক্লোপস একচোখা দানব। সাইক্লোপসের ৫০টা মাথা আর ১০০টা হাত। এরপরের গায়া আর ইউরেনাসের ১২টা সন্তান ছিলো টাইটান। টাইটানরাও দানব। টাইটানদের অনেক শক্তি ছিলো। ইউরেনাসের ধারনা হয় যে তার সন্তানেরা তাকে মেরে ফেলবে আর পৃথিবীর নিয়ন্ত্রন নিয়ে নিবে। একারনে ইউরেনাস তিনটা সাইক্লোপস আর বারোটা টাইটানকে বন্দী করে রাখে। গায়া’র এই ব্যাপারটা মোটেও পছন্দ হয়নি। বারোটা টাইটানের একটা ছিলো ক্রোনাস, আরেকজন প্রমিথিউস। প্রমিথিউস ভবিষ্যত দেখতে পারতো। গায়ার সহযোগিতায় ক্রোনাস মুক্তি পেয়ে ইউরেনাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধে নামে। যুদ্ধে ক্রোনাস জয়ী হয় আর ইউরেনাস কে মেরে ফেলে।
জয়ী হয়ে ক্রোনাসের মধ্যে কুটনামি বুদ্ধি ভর করে। সে একা সব ক্ষমতা পেতে তার আগের দশজন টাইটান ভাই-বোন আর তিনজন সাইক্লোপসকে আবারো আটকে রাখে। এরপর রেয়া নামের একজন টাইটান বোনকে বিয়ে করে। রেয়াকে রিয়া ও বলা হয়। ইউরেনাসের মতো ক্রোনাসেরও ধারনা হয় তার ছেলেরা ক্রোনাসকে খুন করে ক্ষমতা দখল করবে। এইজন্য ক্রোনাস তার পাঁচ ছেলে-মেয়ে দিমিত্রি, হেরা, হেসিয়া, পোসেইডন আরো একজনকে খেয়ে ফেলে। গায়া’র আশীর্বাদে ক্রোনাসের ছেলে-মেয়ে দানব হয়নি, দেব-দেবী হয়েছিলো। দেব-দেবী হওয়ার কারনে তারা কেউ মারা যায়নি, ক্রোনাসের পেটেই বড় হতে থেকে। ছয় নাম্বার সন্তান হওয়ার পর গায়া’র সহযোগিতায় রেয়া ওই সন্তানকে ক্রোনাসের থেকে লুকিয়ে রাখে। এইটা ছিলো দেবতাদের রাজা জিউস। কাপড়ে পাথর পেঁচিয়ে রেয়া ক্রোনাসকে খেতে দেয়। এই ব্যাবহারে ক্রোনাস রিয়া’র উপর খুশি হয়ে ভুলে ভুলে তার আগের ভাইবোনদের কথা বলে ফেলে। এই কথা বাচ্চা জিউস শুনতে পায়। এরপর জিউস ধীরে ধীরে বড় হতে থাকে। একসময় জিউস ক্রোনাসের খাবার দাবারের সাথে আগডুম বাগডুম পড়া লতাপাতা খাইয়ে দেয়। আগডুম বাগডুম খেয়ে ক্রোনাস পেটের সবকিছু উগড়ে দেয়। তখন জিউসের আগের পাঁচ দেব-দেবী ভাইবোন বেরিয়ে আসে। পাঁচ ভাইবোন আর গায়া’র সহযোগিতায় জিউস ক্রোনাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধে নামে। ক্রোনাসের সাথে যোগ দেয় তার সাইক্লোপস তিন ভাই আর টাইটান দশ ভাই-বোন। দেব-দেবী আর দানবদের যুদ্ধ য্যানো আর শেষ হয় না। টাইটান প্রমিথিউস ভবিষ্যত দেখতে পারতো। প্রমিথিউস দেখে যে দেবতাদেরই জয় হবে। তখন সে দল বদল করে দেবতাদের সাথে যোগ দেয়। প্রমিথিউসের সহযোগিতায় দেবতাদের জয় হয়। জয়ী হয়ে দানবদের বন্দী ও নির্বাসিত করে জিউস। দেবতাদের রাজা হয় জিউস। জিউস তার দলবল নিয়ে অলিম্পাস পাহাড়ে আস্তানা গাড়ে। অলিম্পাস নামের এখন যা শোনা যায় তা এই অলিম্পাস পাহাড় থেকেই এসেছে। অলিম্পাস কত্তো বিয়ে করেছে তার হিসাব নাই। তার বউদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিলো হেরা। অলিম্পাস পাহাড়ে জিউসদের সাথে যোগ দেয় প্রমিথিউস আর এপিথেমিয়াস। অলিম্পাস পাহাড় হলো গ্রীক স্বর্গ।
যুদ্ধ জয়ের পর জিউস প্রমিথিউস আর তার ভাই এপিথেমিয়াস কে দায়িত্ব দেয় জীবজন্তু সৃষ্টির। এই কাজে দুই ভাইকে স্বর্গ মানে অলিম্পাস পাহাড় থেকে সব কিছু উপহার দেওয়া হয়। জীবজন্তু তৈরী করতে করতে যখন মানুষ তৈরীর সময় হয়, তখন দেখা যায় স্বর্গ থেকে উপহার দেওয়া ধারালো নখ, দাঁত, প্রখর দৃষ্টিশক্তি, ঘ্রাণশক্তি, খোলস কিছুই অবশিষ্ট নেই। তখন প্রমিথিউস আর এপিথেলিয়াস মানুষকে দেবতাদের আদলে তৈরী করে। মানুষকে পশুদের মতো হিংস্র না করে সৃষ্টিশীল করে বানানো হয়। তাদের দেওয়া হয় আকাশের দিকে তাকানোর ক্ষমতা, নতুন কিছু সৃষ্টি করার মানসিকতা। এরপর প্রমিথিউসের মনে হয় মানুষকে আগুন দেওয়া উচিত। কিন্তু জিউস প্রমিথিউসে এই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে।
এরপর প্রমিথিউস স্বর্গ থেকে আগুন চুরি করে এনে মানুষকে দেয়। জিউস প্রচন্ড রাগে প্রমিথিউসকে বন্দি করে অলিম্পাস পাহাড়ের চূড়ায় নিয়ে যায়। সেখানে তাকে বেঁধে রাখা হয়। প্রতিদিন বিশাল একটা ঈগল এসে প্রমিথিউসের হার্ট ঠুকরে খেয়ে ফেলতো, পরদিন সকালে হার্ট আবার আগের মতোন হয়ে যেতো।
মানুষকে শাস্তি দেয়ার জন্য জিউস স্বর্গে তৈরী করে নিখুঁত ও সর্ব প্রথম নারী প্যান্ডোরাকে। প্যান্ডোরাকে তৈরী করা হয় প্রেমের দেবী আফ্রোদিতি’র আদলে। প্যান্ডোরাকে সব দেব-দেবী তাদের গুন দান করে। হার্মস প্যান্ডোরাকে দেয় চাতুর্যতা ও দৃঢ়তা, অ্যাপোলো দেয় গান গাওয়ার ক্ষমতা। এভাবে প্রত্যেক দেব দেবী তাদের সেরা গুন দান করে প্যান্ডোরাকে। জিউসের বউ হেরা প্যান্ডোরাকে দেয় কৌতুহলি হওয়ার ক্ষমতা। জিউস প্যান্ডোরাকে উপহার হিসেবে এপিথেলিয়াসের কাছে পাঠায়। প্রমিথিউস আগেই তার ভাইকে নিষেধ করেছিলো জিউসের থেকে কোন উপহার গ্রহন না করতে, কিন্তু প্যান্ডোরাকে দেখে মুগ্ধ হয়ে এপিথেলিয়াস প্রমিথিউসের কথা ভুলে যায়।
এরপর এপিথেলিয়াস আর প্যান্ডোরার বিয়ে হয়। বিয়েতে জিউস উপহার দেয় একটা বাক্স। উপহার দিয়ে প্যান্ডোরাকে জিউস বলে দেয় সে য্যানো এটা না খুলে। বিয়েরদিন রাতে প্যান্ডোরার মনে পরে জিউসের উপহার দেয়া বাক্সের কথা। হেরা’র দেয়া কৌতুহলের কাছে জিউসের নিষেধাজ্ঞা হার মানে, বাক্স খুলে ফেলে প্যান্ডোরা। ফলে ক্ষুধা, জরা, দুঃখ, জিঘাংসা, রোগ-শোক ছড়িয়ে পরে পৃথিবীতে। বন্ধ করতে করতে সব বেরিয়ে পরে বাক্স থেকে, শুধু আশা রয়ে যায় বাক্সের ভিতরে। এভাবেই প্রথম নারী মানবজাতির জন্য দুর্দশা বয়ে আনে। মিথ অনুযায়ী এখান থেকেই মানবজাতির পৃথিবীতে বসবাস শুরু।
‘প্যান্ডোরার বাক্স’ কথাটি এখান থেকেই এসেছে। বাক্সের ভিতরে থাকা আশা’র জন্যই মানবজাতি এখনো টিকে আছে। এর বহু বছর পর জিউস পুত্র মহা বীর হারকিউলিস প্রমিথিউসকে উদ্ধার করে। প্রমিথিউস নামে বাংলাদেশে যে ব্যান্ডটা আছে সেটা টাইটান প্রমিথিউস থেকেই নেওয়া, তবে যেহেতু প্রমিথিউস সঙ্গীত সংক্রান্ত কোন কিছু না, তাই ব্যান্ডের নাম অ্যাপোলো দেওয়া উচিত ছিলো। হয়তো তখন প্রমিথিউস নামটা দাঁতভাঙ্গা ছিলো, তাই এই নামই রাখা হয়েছে। ব্যান্ড’র কোন সোজা নাম খুব কমই আছে। স্লিপনট, টক্সিসিটি, লিঙ্কিন পার্ক, সিসটেম অব এ ডাউন – মিনিংলেস সব নাম। আফ্রোদিতি নামের গান, পারফিউম, এই দেবী আফ্রোদিতি থেকেই এসেছে, ইকো বা প্রতিধ্বনি এসেছে আরেক দেবী ‘ইকো’ থেকে, নারসিসিজম বা আত্মপ্রেম এসেছে ইকো’র এক্স বয়ফ্রেন্ড নারসিসাস থেকে, নারগিস নামের যে ফুল আছে, সেটাও দেবতা নারসিসাসেরই সৃতি হিসেবে নাম রাখা হয়েছে। মেডুসা নামের দেবীর চুল ছিলো না, চুলের বদলে ছিলো সাপ, পাইরেটস অব দ্যা ক্যারিবিয়ানের পার্ল জাহাজের নাবিকের দাড়িতে যে জোঁক, সাপ আর কেঁচো’র সংকর নাচানাচি করে, তা মেডুসা’র থেকেই এসেছে। জিউসকে এখনো দেখা যায়, বজ্রপাতে, আর হারকিউলিসকে আকাশের তাঁরায়।
পৌরাণিক গ্রীক দেব-দেবীগণ - প্রথম পর্ব
অজানাকাল ধরে বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের শাসনকর্তা ছিলেন
বিশাল বপু ও অবিশ্বাস্য শক্তিধর টাইটানেরা। তারা সংখ্যায় অনেক হলেও সবার নাম
জানা যায়না। কয়েকজনের বর্ননা পাওয়া যায় গ্রীক পুরাণ রচয়িতাদের কাব্য থেকে।
তাদের মধ্যে সবচে... |
পৌরাণিক গ্রীক দেব-দেবীগণ - দ্বিতীয় পর্ব
এরস : সুদর্শন ও দায়িত্বশীল কামদেবতা, ল্যাটিন
ভাষায় যাকে “কিউপিড” ডাকা হয়। তিনি প্রায়ই মানুষকে উপহার সামগ্রী দিতেন।
কামদেবতা এরস বাস করেন মানুষের হৃদয়ে, সবার হৃদয়ে না... |
পুরাণতত্ত্বের গ্রীক ও রোমান লেখকবৃন্দ
ওভিদ : ল্যাটিন কবি ওভিদ ছিলেন অগাস্টাসের
রাজত্বকালীন সময়ের কবি। তিনি চিরায়ত পুরাণতত্ত্বের প্রায় পুরোটাই
লিখেছিলেন। সাহিত্য ও শিল্পের মাধ্যমে তিনি সুপরিচিত পৌরাণিক কাহিনীগুলোকে
বর্ননা করলেন বিশাল অবয়বে...
|
আমার ভবিষ্যৎ নরকবাস : মিথলজি ও অজনপ্রিয় ধর্মানুসারে
অজ্ঞেয়বাদী-সংশয়বাদী হিশেবে প্রায়ই ভাবি স্রষ্টা
যদি থেকে থাকেন তাহলে পুনর্জীবনে আমার অবস্থা ক্যামন হবে। স্রষ্টা থেকে থাকলে
শুধু আমার মতোন নির্দিষ্ট কোন ধর্মহীনই না, ঘোর নাস্তিকসহ প্রায় ৪,২০০টি
ধর্মের বিশ্বাসীগনও নরকে যাবে...
|
গ্রীক বীর হারকিউলিসের স্ত্রী-পুত্র হত্যা ও প্রায় অসাধ্য বারোটি শ্রম সাধন
হারকিউলিসকে বলা হয় মর্তের সবচে শক্তিশালী মানুষ। তার ছিলো অসাধারণ শক্তি, প্রচণ্ড আত্মবিশ্বাস। হারকিউলিস বিশ্বাস করতেন তিনি যেই বিশ্বাসটি ধারণ করছেন তার বিপক্ষে যেই থাকুক না ক্যানো তিনি কখনো পরাস্ত হবেন না। তার জন্ম হয়েছিলো থিবিসে... |
গ্রীক বীর হারকিউলিসের অ-বীরোচিত কিছু কর্ম ও অকাল প্রয়াণ
অসম্ভব শক্তিশালী ও প্রচণ্ড আত্মবিশ্বাসী হারকিউলিসের বুদ্ধিমত্তা প্রায়শই তার শক্তির মতোন প্রকাশ পেত না, তাই তার অনেক কাজই ছিলো ভয়ানক দৃষ্টিকটু। আসাধারণ শক্তির কারণে তিনি নিজেকে দেবতাদের সমতূল্য ভাবতেনছে... |
গৌতম বুদ্ধ : ভার্জিন বার্থ-এর ভারতীয় উপমহাদেশের উদাহারন
"ভার্জিন বার্থ" শুনলেই যীশু'র কথা মনে পরে, তবে এই
ধরণের জন্মের ক্ষেত্রে "ভার্জিন বার্থ" টার্মটি কিন্তু সর্বপ্রথম (ধর্মীয়
মহাপুরুষদের ক্ষেত্রে) ব্যবহৃত হয়েছিলো আমাদের এই অঞ্চলে, যীশু'র জন্মের ৫৬২
বছর পূর্বে... |
পঞ্চপান্ডব মাতা কুন্তি : প্রাচীন ভারতীয় পুরাণের এক বহুগামী নারী চরিত্র
বিভিন্ন অঞ্চলের পুরাণ বিবেচনা করলে দ্যাখা যায়
প্রাচীন ভারতের পুরাণে অপেক্ষাকৃত বেশি যৌনতা ছিলো, আমার কাছে সেটাই মনে হয়।
অন্যান্য পুরাণ, য্যামন গ্রীস, রোম... |
যম ও যমুনার জন্ম এবং ছায়া সৃষ্টির উপাখ্যান
বিশ্বকর্মার মেয়ে সংজ্ঞার সাথে মহা ধুমধামে সূর্যের
বিয়ে হয়ে গ্যালো। লজ্জাবতী নারী হলে কী হয়, অন্তত লোকচক্ষুর আড়ালে তো
স্বামীর দিকে ডাগর চোখ মেলে তাকাতে হয়। কিন্তু স্বামী যে স্বয়ং সূর্য, তার
দিকে তাকালেই যে চোখ বন্ধ হয়ে আসে... |
মহুয়া সুন্দরী ও নদের চাঁদের উপাখ্যান
প্রথম প্রহরের ঘুটঘুটে অন্ধকারের মধ্যে চল্লিশোর্ধ্ব
হুমরা সর্দার দাড়িয়ে আছেন ধনু নদীর তীরে। চোখ-মুখের গভীর চিন্তা উত্তেজনায়
পরিণত হয়ে ছড়িয়ে পরেছে পেশীবহুল শক্তসমর্থ দেহে, যতো দ্রুত সম্ভব নদী পার
হয়ে চলে যেতে হবে... |
বনবিবি ও জঙ্গলি
শাহ'র উপাখ্যান
বঙ্গের দক্ষিনাঞ্চলে তখন নিষ্ঠুর রাজা দক্ষিন রায়ের
রাজত্ব। খোদা চাইলেন প্রতিনিধি পাঠিয়ে দক্ষিন রায়কে শায়েস্তা করবেন, কিন্তু
কীভাবে পাঠাবেন ভেবে পাচ্ছেন না। অ্যামনি এক সময় মক্কায় ইব্রাহীম নামক এক
সন্তানহীন দরবেশ তার স্ত্রী ফুলবিবির... |
গ্রীক ডেমি-গড
পার্সিউসের মেডুসা বধ ও প্রণয়কাহিনী
আর্গসের রাজা অ্যাক্রিসিউসের একমাত্র কন্যা ড্যানি
ছিলেন রাজ্যের সবচে সুন্দরী নারী। রাজা অ্যাক্রিসিউসের কোন ছেলে সন্তান না
থাকায় তার মনে শান্তি ছিলো না। তিনি কোনদিন পুত্রসন্তানের জনক হবেন কিনা
জানতে একদিন... |
কিং ঈডিপাস - পিতাকে
হত্যা করে মাতাকে বিবাহ, অতঃপর অনুশোচনায় দগ্ধ হয়ে মৃত্যুকে আলিঙ্গনকারী এক
গ্রীক চরিত্র
ল্যাবডেকাসের পুত্র লেয়াস ছিলেন থিবীসের রাজা,
লেয়াসের স্ত্রী রানী জোকাস্টা। বহুদিন ধরে সন্তান কামনা করছিলেন লেয়াস,
সন্তান না হওয়ার কারণ অনুসন্ধানে একদিন গোপনে ডেলফির... |
পাইরামাস ও থিসবি'র
করুণ প্রেমোপাখ্যান এবং তুষারশুভ্র মালবেরী ফলের বর্ণ পরিবর্তন
অনেক অনেক আগে মালবেরী গাছের গাঢ় লাল বর্ণের
বেরীগুলো কিন্তু লাল ছিলো না, ছিলো তুষারের মতোন শাদা। শাদা থেকে বর্ণ
পরিবর্তনের পেছনে আছে এক করুণ, দুঃখময় ও... |
গ্রীক বীর
বেলেরোফোনের পেগাসাস জয়, কাইমেরা বধ ও প্রণয়কাহিনী
সিসিফাসের পুত্র গ্লকাস ছিলেন ইফার নগরীর রাজা, যেই
নগরীকে পরবর্তীতে “করিন্থ” বলা হতো। তার পিতা সিসিফাস জিউসের সাথে
বিশ্বাসঘাতকতার ফলস্বরুপ হেডিসে চিরকাল এক খন্ড পাঁথর পর্বতের গা বেয়ে তোলার
শাস্তি পেয়েছিলেন... |
কিং মিডাস - সোনালী
স্পর্শ-শক্তির ও গাধার কান প্রাপ্ত এক বোকা রাজা
গোলাপের দেশ ফ্রিজিয়া’র রাজা মিডাস’কে সবচে
বিত্তশালী কয়েকজনের একজন ধরা হয়, যদিও তিনি তার বেশিরভাগ ধনসম্পদ ভোগ করতে
পেরেছিলেন একদিনেরও কম সময় ধরে। তিনি যতোটা বিত্তশালী ছিলেন, তারচে বেশি
ছিলেন বোকা... |
রাজা ব্রহ্মদত্তের সময়কার কথা। তার রাজ্য
বারাণসীর এক ব্রাহ্মণ বিশেষ এক মন্ত্র জানতেন। মন্ত্রের বৈশিষ্ট্য হলো,
বিশেষ একটি নক্ষত্র আকাশে দ্যাখা গ্যালে মন্ত্রপাঠ করে আকাশপানে তাকালে
তৎক্ষণাৎ রত্নবর্ষণ হতো...
|
"আমরা জন্ম-জন্মান্তরে মানবের ভালোবাসা পেয়ে যাবো,
ভালোবেসে যাবো... আমরাই নর, আমরাই নারী, তবে কখনো কারো পিতা অথবা মাতা হতে
পারবো না... আমাদের জীবন অনন্ত সুখের জীবন।"...
|