বাংলাস্তান

বাংলাস্তান (বর্তমান অবস্থা চলতে থাকলে ভবিষ্যতের বাংলাদেশ)
কাফি রশিদ, ৩০/৯/১২

আনুষ্ঠানিক নাম : ইসলামী প্রজাতন্ত্র বাংলাস্তান
রাজধানী : মুসলিমাবাদ
বৃহত্তম শহর : রাজধানী
রাষ্ট্রীয় ভাষাসমূহ : আরবী, উর্দু
সরকার ব্যবস্থা : ইসলামী প্রজাতন্ত্র
আইনের উৎস : আল কোরআন
স্বাধীনতা : ইসলামী রেভ্যুলুশনের মাধ্যমে, “বাংলাদেশ” থেকে
জনসংখ্যা : আনুমানিক ১৪ কোটি (বিধর্মী ও নাস্তিক নিধন কর্মসূচির পর)
জিডিপি : মোট ২০০ বিলিয়ন স্বর্ণমুদ্রা
মুদ্রা : স্বর্ণমুদ্রা
ইন্টারনেট টিএলডি : নাই
কলিং কোড : ৭৮৬

বাংলাস্তান দক্ষিণ এশিয়ার একটি কট্টর ইসমালী রাষ্ট্র যার আনুষ্ঠানিক নাম ইসলামী প্রজাতন্ত্র বাংলাস্তান। ১৯৭১ খ্রিস্টাব্দে কতিপয় কুলাঙ্গারের দেশদ্রোহী কর্মকান্ডের ফলে যে দেশটি সৃষ্টি হয়েছিলো, তার সেক্যুলার, অসাম্প্রদায়িক শাসন ব্যবস্থা ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি মেনে চলা জনগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে সশস্ত্র বিধর্মী নিধনযজ্ঞের মধ্য দিয়ে রেভ্যুলুশনারী ইসলামী জোটের নেতৃত্বে ২০৭০ খ্রিস্টাব্দে একটি কট্টর ইসলামী রাষ্ট্র হিশেবে প্রতিষ্ঠিত হয়। ইসলামী শোষনতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা পরবর্তী সময়ে বাংলাস্তানে বিভিন্ন সময় ঘটেছে বিধর্মী অনুপ্রবেশ; এছাড়াও প্রলম্বিত খাঁটি বাঙালী নিধনযজ্ঞ ও পুনঃপৌনিক “অবিশ্বাসী নেতৃত্বাধীন বিধর্মী” দের বিপ্লবের চেষ্টা এদেশের অধপতনকে বাধাগ্রস্ত করেছে। ২০৭০ খ্রিস্টাব্দে কোরআন ও সুন্নাহ ভিত্তিক শোষনব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত হবার পর থেকে বাংলাস্তান ধীরে ধীরে অর্থনৈতিক অধপতন ও সভ্যতা থেকে পিছিয়ে চলেছে।

বিশ্বের সবচেয়ে অধঃপতিত দেশগুলোর তালিকায় বাংলাস্তানের অবস্থান দ্বিতীয় (পাকিস্তানের পরেই)। কিন্তু জনসংখ্যা নিধনে বাংলাস্তান বিশ্বে প্রথম; ফলে বাংলাস্তান বিশ্বের সবচেয়ে অশান্তির দেশগুলোর একটি। রাজধানী মুসলিমাবাদ ও অন্যান্য শহরের শুয়োরসঙ্গমী নেতাকর্মীদের কারণে রাষ্ট্রটি দ্রুত পিছিয়ে চলছে।

বাংলাস্তানের বর্তমান সীমারেখা নির্ধারিত হয় ২০৭০ খ্রিস্টাব্দে ইসলামী রেভ্যুলুশনের সময়, একাংশের নামকরণ করা হয় সম্পুর্ন পাকভূমি, আরেকাংশের নামকরণ করা হয় মডারেট পাকভূমি। নবগঠিত সরকার বিধর্মী ও অবিশ্বাসী নিধনযজ্ঞ কর্মসূচি গ্রহণের প্রাক্কালে দেশটির দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের আদিবাসীদের গণকোরবানী শুরুর পর ঐ অঞ্চলটি মডারেট পাকভূমির আওতায় চলে আসে। উল্লেখযোগ্য, বাংলাস্তান কয়েক বছরের মধ্যেই পাকিস্তানের সাথে রিকন্সিলিয়েশনে যাবে, তখন বর্তমান বাংলাস্তানের প্রাদেশিক নাম হবে “পাকভূমি”। আর দুই বৃহৎ প্রদেশের (পাকভূমি ও পাকিস্তান) সম্মিলিত নাম হবে “ছাগভূমি”

দেশটির শতকরা একশভাগ জনগোষ্ঠী শিক্ষিত। শিক্ষিত বলতে দেশটিতে যারা মধুর সুরে আরবী ভাষায় লিখিত কোরআন পড়তে পারে তাদেরকেই বোঝায়। ইসলামী রাজতন্ত্রে যাওয়ার পূর্বপ্রস্তুতি হিসাবে দেশটিতে নারীদের ভোটাধিকার নিষিদ্ধ করা হয়েছে। সেই সাথে নারী শিক্ষাও চিরতরে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। দেশটির বর্তমান সরকারের উল্লেখযোগ্য কাজ হলো প্রায় দেড় কোটি প্রগতিশীল ব্যক্তি, হিন্দু, বৌদ্ধ, খৃস্টান ও অবিশ্বাসী জনগোষ্ঠী হত্যা ও অর্ধ কোটি জনগোষ্ঠীকে পার্শ্ববর্তী দেশসমূহ সহ পশ্চিমে জোরপূর্বক হিজরত করানো। তবে রাতারাতি জনসংখ্যা দুই কোটি কমে আসলেও দেশে কনডম উৎপাদন নিষিদ্ধকরণ, দাসপ্রথা চালুকরণ, রয়ে যাওয়া বিধর্মী নারীদের গণিমতের মাল আখ্যায়িত করে ভোগকরণ কর্মসূচির ফলে শীঘ্রই জনসংখ্যা বেড়ে যাবে।
মধ্যযুগে গমনের অংশ হিশেবে দেশটি ইতিমধ্যেই ইন্টারনেট সংযোগ হতে নিজেদের বিচ্ছিন্ন করে নেয়ার পাশাপাশি বহিঃবিশ্বের সাথে টেলিযোগাযোগ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। অল্প পরিসরে সরকারী তথ্য আদানপ্রদানের মাধ্যম হিশেবে কবুতর ব্যবহার করা হচ্ছে। কেবল পাকিস্তানের সাথে টেলিযোগাযোগ রক্ষার উদ্দেশ্যে মুসলিমাবাদের মগবাজারে অবস্থিত টেলিযোগাযোগ কেন্দ্রের মাধ্যমে ৭৮৬ কলিংকোড ব্যবহার করে যোগাযোগ করা হচ্ছে।

গুপ্তচর হতে প্রাপ্ত তথ্য সন্নিবেশিত উইকিপিডিয়ার "বাংলাস্তান" পাতা।  
("বাংলাদেশ" পাতা হতে রিডাইরেক্টকৃত)